explore

explore

Pronam-Rani

প্রণাম রানী

প্রণাম রানী, দয়াময়ী মা, আমাদের জীবন-মাধুর্য ও ভরসা, প্রণাম। হবার নির্বাসিত সন্তান আমরা, তোমার কাছে আর্তনাদ করছি। এই অশ্রুময় সংসারে আমরা তোমার উদ্দেশ্যে কেঁদে পরিতাপ করছি। হে নিত্য সাহায্যকারিণী, তোমার সদয় চোখে আমাদের দিকে তাকাও। এই নির্বাসনের পর তোমার পুত্র ধন্য যিশুকে আমাদের প্রদর্শন কর। হে দয়াময়ী, হে স্নেহময়ী, হে মাধুর্যময়ী, মারীয়া-কুমারী। চালকঃ হে পুণ্যময়ী ঈশ্বর, আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর। সবাইঃ আমরা যেন খ্রিষ্টের অঙ্গীকারের যোগ্য হয়ে উঠি। চালকঃ এস, আমরা প্রার্থনা করি… হে ঈশ্বর, তোমার একমাত্র পুত্র নিজের জীবন, মৃত্যু ও পুনুরুত্থান এর মাধ্যমে আমাদের জন্য অনন্ত পরিত্রাণের পুরষ্কার অর্জন করেছেন । মিনতি করি, আমরা যেন কুমারী মারীয়ার পবিত্র জপমালার নিগুঢ়তত্ত্ব ধ্যান করে এর অন্তর্গত ভাব অনুকরণ করতে এবং তাঁর প্রতিশ্রুত ফল লাভ করতে পারি। আমাদের প্রভু যিশু খ্রিষ্টের নামে। – আমেন।

ধন্যা কুমারী মারীয়ার স্তব




প্রভু, দয়া কর।

খ্রিষ্ট, দয়া কর।

প্রভু, দয়া কর।

খ্রিষ্ট, আমদের প্রার্থনা শোন।

খ্রিষ্ট, আমদের প্রার্থনা গ্রহণ কর।


স্বর্গীয় পিতা ঈশ্বর,
আমাদের প্রতি সদয় হও

জগতত্রাতা পুত্র ঈশ্বর,
আমাদের প্রতি সদয় হও

পবিত্র আত্মা ঈশ্বর,
আমাদের প্রতি সদয় হও

পবিত্র ত্রিত্ব এক ঈশ্বর,
আমাদের প্রতি সদয় হও

পবিত্রা মারীয়া,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

ঈশ্বরের পবিত্রা জননী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

কুমারী কুলোত্তমা পবিত্রা কুমারী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

খ্রিষ্টের মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

খ্রিষ্ট মণ্ডলির মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

ঐশ্বরিক প্রসাদের মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

পরম নির্মলা মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

পরম বিশুদ্ধা মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

অক্ষতা মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

অস্পৃষ্টা মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

প্রেমের যোগ্যা মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

চমৎকারিণী মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

সুপরামর্শের মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

সৃষ্টিকর্তার মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

ত্রাণকর্তার মাতা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

পরম পরিণামদর্শিনী কুমারী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

শ্রদ্ধেয়া কুমারী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

প্রসংশনীয়া কুমারী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

শক্তিমতি কুমারী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

দয়াময়ী কুমারী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

বিশ্বস্তা কুমারী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

ন্যায়ের দর্পণ,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

প্রজ্ঞার আসন,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

আমাদের আনন্দের কারণ,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

আধ্যাত্নিক আধার,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

পরম ভক্তির আধার,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

নিগুঢ় গোলাপ,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

দায়ুদের দুর্গ,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

হস্তিদন্তের দুর্গ,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

স্বর্ণের গৃহ,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

সন্ধি-নিয়মের সিন্দুক,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

স্বর্গের দ্বার,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

প্রভাতের তারা,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

রোগিদের স্বাস্থ্য,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

পাপীদের আশ্রয়,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

দুঃখীদের সান্ত্বনা দায়িনী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

খ্রিস্টানদের সহায়,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

দুতগণের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

কুলপতিগণের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

ভাববাদীগণের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

প্রেরিতগণের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

সাক্ষ্যমরগণের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

ধর্মসাধকগণের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

কুমারীগণের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

সমুদয় সাধু রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

অমল-সম্ভবা রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

স্বর্গোন্নীতা রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

পরম পবিত্র জপমালা রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

পরিবারের রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

শান্তি রাণী,
আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর

চালকঃ হে ঈশ্বরের মেষশাবক, জগতের পাপাহারী,
সবাইঃ প্রভু, আমাদের ক্ষমা কর ।

চালকঃ হে ঈশ্বরের মেষশাবক, জগতের পাপাহারী,
সবাইঃ প্রভু, আমাদের প্রার্থনা গ্রহণ কর ।

চালকঃ হে ঈশ্বরের মেষশাবক, জগতের পাপাহারী,
সবাইঃ আমাদের প্রতি সদয় হও ।

চালকঃ হে পুণ্যময়ী ঈশ্বর-জননী, আমাদের মঙ্গল প্রার্থনা কর।
সবাইঃ আমরা যেন খ্রিষ্টের অঙ্গীকারের যোগ্য হয়ে উঠি।
চালকঃ এস, আমরা প্রার্থনা করি-
হে প্রভু ঈশ্বর, আমরা সবিনয় প্রার্থনা করি,
যেন তোমার সেবক আমরা চিরদিন সুস্থাবস্থায় জীবন যাপন করি এবং গৌরবান্বিতা নিত্যকুমারী ধন্যা মারীয়ার অনুরোধে
বর্তমান দুঃখ হইতে সংরক্ষিত হইয়া নিত্যানন্দ ভোগ করি। আমাদের প্রভু খ্রিষ্টের নামে । – আমেন।


স্মরণ কর

স্মরণ কর, হে করুণাময়ী কুমারি মারীয়া, কেউ তোমাকে ডাকিয়া সাড়া যে পায় নাই, কেউ সাহায্য চাইলে তুমি যে দাও নাই, বিপদে পড়িয়া কেউ রক্ষা প্রার্থনা করিলে তুমি যে শোন নাই এই কথা কে বলিতে পারে। এই ভরসায় আজ আমি তোমার নিকট আসিয়াছি। হে অতুলনীয়া কুমারী, আমার জননী, আজ তুমি আমার গতি, তুমিই এই দীনহীন পাপীর একমাত্র আশ্রয়। ঈশ্বরের পুত্রের মাতা, তুমি আমারও মাতা, তোমার অযোগ্য সন্তানের প্রার্থনা অগ্রাহ্য করিয়ো না, কিন্তু কৃপা করিয়া আমার প্রার্থনাটি গ্রহন করিয়া তাহা পুরণ কর। -আমেন

যিশুর সমাধি প্রার্থনা

১৯০৮ সালে পবিত্র ভূমি জেরুসালেম থেকে ফিরে আসা এক ভদ্রলোক তাঁর সাথে একটি রেলিক নিয়ে এসেছিলেন যা “যিশুর সমাধি প্রার্থনা” নামে পরিচিত।

হে পূজনীয় প্রভু ও ত্রাণকর্তা যিশু খ্রিস্ট, আমাদের জীবনের জন্য তুমি ক্রুশের উপর প্রাণ ত্যাগ করলে। হে খ্রিস্টের পবিত্র ক্রুশ, আমার সকল চিন্তা পরিচালিত কর। হে খ্রিস্টের পবিত্র ক্রুশ, বিপদের সকল অস্ত্র থেকে আমাকে দুরে রাখ। হে খ্রিস্টের পবিত্র ক্রুশ, সব রকম মন্দতা থেকে আমাকে দুরে রাখ। হে খ্রিস্টের পবিত্র ক্রুশ, আমার শত্রুদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর। হে খ্রিস্টের পবিত্র ক্রুশ, আমাকে আনন্দের পথে পরিচালিত ও রক্ষা কর। হে খ্রিস্টের পবিত্র ক্রুশ, ভয়াবহ মৃত্যু থেকে আমাকে উদ্ধার কর, সর্বদা জীবন দাও। হে ক্রুশবিদ্ধ নাজারথের যিশু এখন ও ভবিষ্যতে সবসময় আমার প্রতি দয়া কর, আমেন। আমাদের প্রভু যিশু খ্রিস্টের সন্মানে, তাঁর পবিত্র যাতনাভোগের সম্মানে, তাঁর পবিত্র পুনুরত্থানের সম্মানে, এবং তাঁর ঐশ্বরিক স্বর্গারোহণের সম্মান হিসাবে তিনি চান শুধু আমাকে স্বর্গে নিতে। বড়দিনের যাবপাত্রে যিশু খ্রিস্টের জন্মগ্রহণ যেমন সত্য, পুন্য শুক্রবারে কালভেরি পর্বতে তার ক্রুশরোপন যেমন সত্য, তাঁর জন্মের তৃতীয় দিনে তিনজন পন্ডিত এর উপহার নিয়ে আগমন যেমন সত্য, পুন্য শুক্রবারে কালভেরি পর্বতে তার ক্রুশরোপন যেমন সত্য, ও তাঁর স্বগারোহণ যেমন সত্য ঠিক তেমনি সত্য যে, যিশুর গৌরব দৃশ্য-অদৃশ্য সব ধরনের শত্রু থেকে আমাকে এখন ও ভবিষ্যতে সবসময় রক্ষা করবে। আমেন। হে প্রভু যিশু খ্রিস্ট, আমার প্রতি দয়া কর। হে কুমারী মারিয়া ও সাধু যোসেফ, আমার মঙ্গল প্রার্থনা কর, নিকোদিমাস ও আরিমাথিয়ার যোসেফের মধ্য দিয়ে, যারা আমাদের প্রভুকে ক্রুশ থেকে নামিয়ে তাঁকে সমাধিস্থ করেছিলেন। হে প্রভু যিশু খ্রিস্ট, সেদিন সত্যিই তোমার আত্মা এই পাপপূর্ণ পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছিল। তোমার যাতনা ভোগের দ্বারা আমাকে কৃপা দান কর, যেন কষ্টের সময় আমি আমার ক্রুশ ধৈর্য্য ও ভয়ের সাথে নিরবে বহন করতে পারি। যেন তোমার যাতনা ভোগের দ্বারা আমি এখন ও ভবিষ্যতে সকল বিপদ থেকে উদ্ধার পাই। আমেন।

কথিত আছে যে এই প্রার্থনাটি ৮০৯ সালে আমাদের প্রভু যীশু খ্রিস্টের সমাধিতে পাওয়া গিয়েছিল এবং , ১৬শ শতকে পোপ ক্লেমেন্ট ৭ম, সম্রাট চার্লসের সুরক্ষার জন্য যুদ্ধে যাবার সময় তাকে এই প্রার্থনাটি দিয়েছিলেন। বিশ্বস্তদের দ্বারা এটি সর্বাধিক সম্মানিত হয় এবং অনেকেই প্রার্থনার নিচে সংযুক্ত শ্রুতির উপর বিশ্বাস রেখে সবসময় এটি তাদের সাথে রাখেন। প্রার্থনার নিচে এই লেখাগুলো পাওয়া যায়- “যাঁরা প্রতিদিন এই প্রার্থনা আবৃত্তি করে, বা তাদের সাথে রাখে তারা কখনও আকস্মিক মৃত্যুবরণ করবে না, ডুবে মারা যাবে না এবং কোন বিষের প্রভাব তাদের উপর পড়বে না এবং কোন মহিলার প্রসবের সময় এই প্রার্থনা আবৃত্তি করলে, তার প্রসব নিরাপদে হবে এবং সে আনন্দিত মা হবে, এবং সন্তানের জন্মের পরে এটি তার ডানদিকে রাখলে সে কোনও সমস্যায় পড়বে না। এবং, কাউকে অজ্ঞান হতে দেখলে তার ডান পাশে এই প্রার্থনাটি রাখলে সে উঠে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাবে। এবং যে কোনও ঘরে যারা এটি পুনরাবৃত্তি করবে তারা প্রভুর আশীর্বাদ পাবে এবং যারা এটিকে উপহাস করে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এটি নিশ্চিত বিশ্বাস করুন। এটি এমনই সত্য যেন পবিত্র সুসমাচার প্রচারক্রাই এটি লিখেছিলেন। যারা তাদের সাথে এটি রাখে তারা বজ্রপাতের ভয় পাবে না এবং যারা প্রতিদিন এটি পুনরাবৃত্তি করবে তারা মৃত্যুর তিন দিন আগে সতর্কবাণী পাবে।” — লস অ্যাঞ্জেলেস হেরাল্ড, ভলিউম ৩৫, সংখ্যা ২১৪, ৩ মে ১৯০৮ ।