প্রায়শ্চিত্তকাল ও যাতনাভোগ

প্রায়শ্চিত্তকাল ও যাতনাভোগ

প্রভু, তোমার ক্রুশ আছে

প্রভু, তোমার ক্রুশ আছে বলেই
আছ তুমি হৃদয় জুড়ে
স্বত্তায় দিবানিশি
আমার জীবনে মিশে
তোমার ক্রুশ আছে বলেই ।।
আমি যখন স্বার্থে অন্ধ
ভুলে যাই ক্রুশ তোমার
হৃদয় নিভৃতে দাও সুমতি
প্রভু, তুমি আমার ।
ফিরে আসি যেন সুপথে আবার
তোমার ক্রুশ আছে বলেই ।।
তোমার ঐ সঙ্গ সুখে পেয়েছি স্বর্গ সুখ
তুমি প্রভু, মোদের সত্য,
পথ, জীবনের আলোক ।
জানি আমরা প্রভু, নই নিঃসঙ্গ
তোমার ক্রুশ আছে বলেই ।।

ক্রুশকে আমি ভালবাসি

ক্রুশকে আমি ভালবাসি, ক্রুশকে করি ভক্তি ।
ক্রুশই আমার জীবন মরণ, ক্রুশই আমার মুক্তি ।।
যে ক্রুশে যীশু পাপের বোঝা বয়ে কালভেরীতে গেলেন
যে ক্রুশোপরে প্রভু যীশু নিজেই বলি হলেন ।
সেই ক্রুশেতে জীবন সঁপে দিয়ে মিলবো তাঁরই সাথে।।
দু'হাত বাড়ায়ে যীশু ডাকেন মোরে, তাঁর কাছে যাই
তাঁর কাছে গিয়ে লভি জীবন, পাপের ক্ষমা চাই।
তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি চলবো তাঁরই পথে।।

লাল টক টকে রক্ত

লাল টক টকে রক্ত ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে
সে তো আমারি তরে, সে তো তোমারি তরে।।
এমন ভালবাসা দেখেছ কি কখনও
এমন প্রেম প্রীতি বুঝেছ কি কখনও
সে তো তোমায় আমায় ভালবেসে রক্ত বইয়ে দিল।।
এমন অসীম করুণা পাবে কোথায়
সে যে পরের জন্য নিজের জীবন বিলায় ।
এমন আশার বাণী শুনেছ কি কখনও
এমন মুক্তির আলো দেখেছ কি কখনও ।
সে যে ক্রুশের উপর জীবন দিয়ে পাপীর মুক্তি দিল ।।

ক্রুশ বয়ে ত্রাণপতি

ক্রুশ বয়ে ত্রাণপতি যায় গিরিপথে
কাঁপে অঙ্গ থর থর পথ চলিতে (দয়াল) ।।
ক্ষুধা তৃষ্ণা কাঁটার ঘায়ে পাথর কণায় নগ্ন পায়ে
জীবন-স্বামী যায় এগিয়ে জীবন বিলাতে ।।
দুঃখে ঝরে গাছের পাতা, শোকান্বিতা দুঃখী মাতা
কাঁদে পশু কাঁদে পাখী কাঁদে বনলতা ।
মানুষেরই পাপের ভারে ধূলায় প্রভু গেলেন পড়ে
মাটির ধরা সিক্ত হলো পুণ্য শোণিতে।।

বসে একাকী বিজন বনে

১ । বসে একাকী বিজন বনে কাঁদে প্রেমময় জীবন-স্বামী
স্মরি' নিজ প্রাণ যাতনা ক্ষত আসে অবিরল অশ্রু নামি'
২। গলে পাষাণ গলে অশ্রু হেরি' শোণিত ঘর্ম বদনে তারই
মম সুখ লাগি' পাপতাপহারী বেদনাবিধূর আনত ভূমি ।।
৩। নিশিযামিনী সুপ্ত মগন নাহি কোনজন শিষ্যস্বজন
বহে মৃদু বায় দক্ষিণা পবন রোরুদ্যমান চরণ চুমি' ।।

ক্রুশ কাঁধে জীবন-পথে

ক্রুশ কাঁধে জীবন-পথে আমিও প্রভু যাবো সাথে ।।
১। তোমার বেদনা আমিও নেবো, বুকের রক্ত আমিও দেবো
যাতনা যত তোমারি মতো নীরবে আমি সবই স'বো।।
২। পেরেক জ্বালা আমিও পাবো, ক্রুশেতে বলি আমিও হবো
আমার প্রাণ তোমারই দান, তোমাকে আমি সবই দেবো।।

মোদের দুঃখ-যাতনা সবই

মোদের দুঃখ-যাতনা সবই তিনি নিয়েছেন তুলে
তবুও তাঁরে আঘাত করেছি, গিয়েছি তাঁরে ভুলে ।।
বিদ্ধ হয়েছেন মোদের দুরাচারে
চূর্ণ হয়েছেন মোদের পাপভারে
সকলে মোরা আপন পথে গিয়েছি দলে দলে ।।
আমাদের পাপের কঠিন সাজা দিয়েছেন ঈশ্বর তাঁকে
নিষ্ঠুর মরণ মরিলেন, তিনি মেষের মত বলি হইলেন ।
নীরবে রহিলেন, অভিযোগ সহিলেন।
তিনি দয়ার আধার, খুলেন স্বর্গের দ্বার
পাপীর পাপ মুছালেন ।।

পুত্র, এই ছিল কি

পুত্র, এই ছিল কি তোমার মনে, আগে জানিনে ।
করে কাঙ্গালিনী, যাবে, গুণমণি, এ দুঃখের বাণী সহি কেমনে।।
আমার পুত্র আর নাহি একজন
কারে দেখে আমি জুড়াব জীবন।
কারে লব কোলে, কে ডাকবে মা বলে ।
এমন লক্ষ্য আমার নাহি ভুবনে ।।

গেৎসিমানী ঘোর বনানী

গেৎসিমানী ঘোর বনানী মুখর আজি
দুঃখ ব্যথায় লুটায় যীশু মানিক রাজি ।।
শেষ ভোজনের বিদায় জ্বালা
বিষের পাত্র কাঁটার মালা
জৈতুন চূড়ায় পড়লো সাড়া নতুন বুঝি ।।
পাপের ব্যথা রক্ত ঝরায়
ঘর্ম ধারা শিরায় শিরায়
ফরিশীদের চক্রজালে খুনের কারসাজি ।।
বিষম দাহের বহ্নিঘাতে
বধ্যভূমি কালভেরীতে
ঘাতক যুদার শেষ চুম্বনের মূল্য দাও আজি ।।

তব প্রেম দেখে আমি

তব প্রেম দেখে আমি, যীশু, মনে হলেম হতজ্ঞান ।
তুমি প্রাণ দিয়া, নাথ, প্রাণ কিনেছ তাই তো প্রাণের প্রাণ ।।
১। আহা দারুণ ক্রুশেতে পেরেক শলাকাঘাতে
আমার প্রাণ কাঁপিছে থর থর করে ক্রুশ ধ্যান ।।
২। আমি ক্ষুদ্রানুক্ষুদ্র, জ্ঞানে হয়েছি আর্দ্র
আমার ক্ষুদ্র মনে থাকে যেন দয়াল যীশুর নাম ।।
৩। একি শুভ সমাচার, প্রাণের যীশুই আমার
প্রিয় যীশুর বরে, পিতার করে আঁকা আমার নাম ।।
৪। আমি পাপী নগণ্য, যীশুর হয়েছি গণ্য
তাই যীশু ধন্য, যীশু ধন্য গাহে মম প্রাণ ।।

তুমি আঘাত করেছ যারে

তুমি আঘাত করেছ যারে, সে যে তোমারি মুক্তিদাতা ।
তুমি অপমান কর যাঁরে, সে যে তোমারই পরিত্রাতা।।
ওই সুন্দর তনু রুধির ধারায় ভাসে
যেন শুভ্র কমল পঙ্ক-সলিলে হাসে ।
কালভেরী শিরে শোননি কি তুমি মহাজীবনের গাথা ।।
মৃত্যু-তোরণ পার হতে যদি চাও
ক্রুশের বারতা, হে পথিক, শুনে যাও।
অনুতাপ লয়ে বলো শুধু একবার
‘ক্ষমা কর, প্রভু, দীনতা ক্ষমো আমার’
জীর্ণ জীবনে পুষ্পিত হবে প্রেম-বসন্তলতা।।

প্রভুর অন্তিম ভোজের স্মরণে

প্রভুর অন্তিম ভোজের স্মরণে নতুন নিয়মের সন্ধিক্ষণে
এই যাগে মোরা সবার আগে
প্রভুর সাথে মিলি সবে, মিলি সবে মনে প্রাণে । ।
১। অতঃপরে চিন্তা করে দেখি সান্ধ্যভোজের অর্থ
তৎসনে পদপ্রক্ষালন, কত মহৎ এই কার্য ।।
২। প্রভু, তোমার পুণ্য ভোজে মোরা করি অংশগ্রহণ
প্রেমের পথে অটল থেকে তোমায় করি অনুসরণ ।।

ক্ষমার বাণী!

ক্ষমার বাণী! ক্ষমার বাণী!
বিশ্বত্রাতা মহাপ্রভুর প্রেম, ক্ষমার বাণী
যীশু প্রেমময় মোদের লাগি' ক্ষমা চায়
নম্র হয়েছে ক্রুশের 'পরে হায় হায় ।
অপরাধী নয়, ক্ষমার তরেই সইলে সবি।।
আত্মত্যাগী নিজেরে করেছে উজাড়
এই তো তাঁরি প্রেমের পরিচয় ।
মমতা দিয়ে গড়া ওরে তাঁর হৃদয়খানি ।।

যীশুর চতুর্দশ প্রহার

যীশুর চতুর্দশ প্রহার, স্মরণে তাহার
মর্মে ব্যথা লাগিবে তোমার ।।
১। পিলাত-ভবন যীশু যখন পেলেন অদ্ভুত বিচার
প্রথম পৃষ্ঠে প্রহার, ক্ষত অপার, কাঁটার মুকুট মাথার উপর ।
২। দ্বিতীয়ে ক্রুশ স্কন্ধোপরি দিল যাতনা অপার
দারুণ ভারে নত, বোঝা কত, মনে চিন্তা কর তাহার ।
৩। তৃতীয়ে বিদ্রূপ-অপমান, ক্রুশে লাঞ্ছনা তাঁহার
ও তাঁর রক্তময় নেত্রদ্বয়, কম্পিত হয় কলেবর তাঁর।
৪। চতুর্থ ঘটনার কথা ব্যক্ত আছে চরাচর
যীশুর ক্রুশের ব্যথা দেখে মাতা করেন সদা হাহাকার ।
৫৷ পঞ্চমে শিমোনে বেগার ধরি' মাথায় দিল ভার
যীশুর বোঝা লাগব, গেল অভাব, কম হ’ল যাতনার ভার ।
৬। যষ্ঠেতে বেরোনিকা একা করেন বদন পরিষ্কার
দেখ সেই যে বসন, প্রভুর বদন মুদ্রিত হ'ল তাহার উপর ।
৭। সপ্তম স্থলে ভূমিতলে যীশু পড়িলেন আবার
কত কষ্ট করে ধীরে ধীরে উঠিলেন দয়াময় আমার ।
৮। অষ্টমে যেরূশালেমের ধারে গেলেন রাজকুমার
শোকে সকল নারী বিলাপ করি' রোদন করিল বারবার।
৯। নবম স্থানে যেতে ভূমে পড়িলেন এই তিনবার
শত্রু সকল বেড়ি, সেই কালবারি, উঠিলেন দয়াময় আবার ।
১০। দশমে বলে সব লোকে 'কর বস্ত্রহরণ তাঁর’
যীশুর পবিত্রতা জগৎ-পাতা আবরণ দেয় তাঁহার উপর।

১১। একাদশে হেসে হেসে মারে পেরেক হস্তে তাঁর
যীশুর হস্তপদে ঘোর আঘাতে মর্মর শব্দ করে বারবার।
১২। দ্বাদশে প্রাণ করে প্রয়াণ দেহ ছাড়িয়া তাঁহার
দেখে সূর্যের আলো হ'ল কালো, অন্ধকার করিল ভূধর ।
১৩। ত্রয়োদশে মেরীর পাশে নিল শিষ্যেরা তাঁহার
মায়ের অঞ্চলের ধন, যা রতন, মৃতদেহ কোলে দেয় তাঁর।
১৪। চতুর্দশ স্থানেতে আনে দিতে কবর তাঁহার
শেষে কবরবাসী যীশু মশীহ রইলেন না কবরেতে আর।।

আহা মরি মরি

আহা মরি মরি, ক্রুশোপরি চেয়ে দেখ না
তিনি প্রেমভরে পাপীর তরে সহিয়াছেন কত যাতনা ।
১। হস্তে পদে পেরেক মারা, প্রহারিত কোড়া দ্বারা গো
তিনি চোরের মাঝে চোরাকারে! অপমান ও লাঞ্ছনা ।
২। কাঁটার মুকুট শিরে পরা, সর্বাঙ্গে রুধিরধারা গো
তাঁহার দুঃসহ যাতনা হেরে প্রাণে ধৈর্য মানে না ।
৩। প্রভু যীশুর মরণ হেরে, গিরি-কবর সব বিদরে
পৃথিবী সাগর কাঁপে দেখে প্রভুর যন্ত্রণা ।
৪। মন্দিরের পরদা ছিঁড়িল, ভানু মুখ লুকাইল গো-
আকাশে জ্যোতিষ্কদল কেহই আলো দিল না ।
৫৷ ওরে আমার পামর মন, প্রভুর দুঃখ কর স্মরণ গো
একবার ক্রুশপানে চেয়ে কেন নয়নের জল ফেল না ।

হে ক্রুশ পবিত্র

হে ক্রুশ পবিত্র,
আমাদের একমাত্র মুক্তির আশা
তোমাকে আমরা নত মস্তকে প্রণাম করি।।

এই দেখ পবিত্র ক্রুশ

এই দেখ পবিত্র ক্রুশ
এই ক্রুশের উপর জগৎত্রাতা সমর্পিত হয়েছিলেন।
এসো, আমরা এই ক্রুশের আরাধনা করি ।

হে প্রভু আমাকে

হে প্রভু আমাকে, হে প্ৰভু আমাকে ত্যাগ করেছ কেন?

নূতন আদেশ দিলাম আমি

নূতন আদেশ দিলাম আমি
যেভাবে ভালবেসেছি
তোমরা সবে সেইভাবে
পরস্পরকে ভালবাসবে।।

১। শেষভোজ থেকে উঠলেন যীশু
এক পাত্রে জল ঢেলে নিলেন
শিষ্যদের পা ধৌত ক’রে
এই আদর্শ দিয়ে গেলেন ।।

২। আমি প্রভু ও গুরু হয়ে
কি যে করলাম তা কি বুঝলে?
এই আদর্শ তোমাদের দিলাম
যেন তোমরাও তেমনি কর।।

৩। যীশু পিতরের কাছে এলে
পিতর বললেন : প্রভু আমার
আপনি আমার পা ধুয়ে দেবেন!
যীশু তাঁকে উত্তর দিলেন ।।

৪। যদি না ধুয়ে দি’' তোমার পা
তোমায় আমায় থাকবে না যোগ
এখন আমার কাজ বোঝো না
একদিন তুমি বুঝতে পারবে।।

৫। আমি প্রভু ও গুরু হয়ে
তোমাদের পা যখন ধুয়েছি
তোমাদেরও কত না উচিত
ভ্রাতাদের পা ধুয়ে দেওয়া ।।

৬। প্রভু যীশু শিষ্যদের বলেন
পরস্পর যদি ভালবাস
তাতে সবাই বুঝতে পারবে
তোমরা যে আমারই শিষ্য ।।

৭। তোমাদের অন্তরে বিরাজুক
এই তিনগুণঃ বিশ্বাস, আশা ও প্রেম ।
ইহলোকে এই তিনগুণ রয়েছে
তবে সবার উপরে প্রেম ।।

ক্রুশের উপরে দু'হাত

ক্রুশের উপরে দু'হাত বাড়ায়ে
যীশু ডাকে, ফিরে আয়, ফিরে আয় ।
পরিশ্রান্ত ভারাক্রান্ত পাপীজনা ফিরে আয় ।।
এখানে রয়েছে জীবনের আলো
এখানে নেইতো মৃত্যু ও কালো ।
হাত ছানিয়াছে মুক্তির বাণী
জীবন আনন্দময় – ফিরে আয় ।।
হৃদয় দুয়ার খুলে দাও খুলে দাও
হতাশার দিন ফুরায়ে গিয়েছে
আশার আলো ঝলমল আজি
সেই আলোতে জীবন ভরিয়ে নাও।
জীবন এখানে শান্তিতে ভরা এ
খানে নেইতো মুত্যু ও জরা ।
আছে আছে সুখ, আছে আনন্দ
জীবন ছন্দময় – ফিরে আয়।।

ঈশ্বর মানুষকে ভালবেসে

ঈশ্বর মানুষকে ভালবেসে নিজ পুত্রকে পাঠিয়েছিলেন
আমরা তাঁকে ক্রুশে দিয়েছি।
হায় হায়, কি যে ভুল করেছি মোরা নিজের পাপে নিজে মরেছি।।
যিনি এত করুণা করে পুত্রের রূপ ধরে
নশ্বর পৃথিবীতে এলেন
যিনি মানুষের পাপরাশি নিজের স্কন্ধে লয়ে
শান্তির বাণী শোনালেন -
আমরা তাঁকে ক্রুশে দিয়েছি।।
যিনি রোগীকে সুস্থ করে মৃতকে জীবন দিয়ে
অন্ধের চোখ খুলে দিলেন
যিনি পাপীর ক্ষমার তরে নিজের জীবন দিয়ে
মুক্তির দ্বার খুলে দিলেন
আমরা তাঁকে ক্রুশে দিয়েছি।।
যিনি সকল ব্যথা ভুলে জীবনের দ্বার খুলে
আলোর সন্ধান দিলেন
যিনি পাপীকে ভালবেসে পাপের ক্ষমা দিতে
রক্তের ধারা বহালেন -
তিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন
তিনি আমাকে বাঁচিয়েছেন ।।

আমি তাঁরে দেখিনি

আমি তাঁরে দেখিনি - শুধু শুনেছি
যে তিনি ক্রুশে প্রাণ দিয়েছেন।
আমি যেই শুনেছি, সেই বুঝেছি
যে তিনি আমায় ভালবেসেছেন।।
যদি এই পথ ধরে যীশু আসে কখনো
যদি মোর নাম ধরে প্রভু ডাকে কখনো
তবে কি বলতে পারবো “প্রভু এসেছি” ।।
যে পথে গিয়েছেন যীশু সেই পথে চলবো
যদি সে ক্রুশ পড়ে পথে, তারে তুলে ধরবো –
বলবো, “প্রভু তোমায় ভালবেসেছি”।।

খেজুর পাতা হাতে

খেজুর পাতা হাতে নিয়ে ইহুদীরা মহোল্লাসে
হোজান্না হোজান্না বলে প্রভু যীশুর জয়গান করে ।
ধরিত্রী প্রভুরই রাজ্য, চরাচরের স্রষ্টা তিনি
এ পৃথিবীর সকল প্রাণের তিনি পালক, তিনি রাজা ।।

সুনীল সাগরের উপরে স্থাপিত করেছেন ধরা
জলরাশির উপর তাকে বাঁধেন তিনি শক্ত করে ।
হে সিংহদ্বার বিমুক্ত হও, বিমুক্ত হও মহাতোরণ
আসছেন মহিমময় রাজা, অভিনন্দন তাঁকে জানাও।।
কে সেই মহান রাজাধিরাজ, প্রবল প্রতাপ প্রভু, তিনি
সর্বশক্তিমান পরাৎপর, রণ বিজয়ী মহাবীর ।
হে সিংহদ্বার বিমুক্ত হও, বিমুক্ত হও মহাতোরণ
আসছেন মহিমময় রাজা, অভিনন্দন তাঁকে জানাও ।।

কে সেই মহান রাজাধিরাজ, বিশ্ব মণ্ডলের অধীশ্বর
বিশ্বব্যাপী তাঁর মহিমা, ত্রিভুবনের তিনি রাজা ।
হে সিংহদ্বার বিমুক্ত হও, বিমুক্ত হও মহাতোরণ
আসছেন মহিমময় রাজা, অভিনন্দন তাঁকে জানাও ।।

Melody-of-Prayer